কোটি টাকা আয় করার ১০ টি বাস্তব উপায়
পোস্ট সুচিপত্রঃ কোটি টাকা আয় করার ১০ টি বাস্তব উপায়
- কোটি টাকা আয় করার বাস্তব উপায়
- ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি টাকা আয়ের পথ
- ফ্রিল্যান্সিং করে যেই সকল প্লাটফর্মে কাজ পাওয়া যাবে
- ব্লগিং করে সহজেই টাকা আয় করার উপায়
- অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কোটি টাকা আয়ের উপায়
- অর্ডিনারি আইটিতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে লাখ টাকা আয়
- ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজের ব্যাবসা শুরু করুন
- স্কিল শিখিয়ে টাকা আয় করার উপায়
- প্রপার্টি বিক্রি করে কমিশনে টাকা আয়
- এই অভিজ্ঞতা শুরু করার পূর্বে আমার পরামর্শ
কোটি টাকা আয় করার বাস্তব উপায়
কোটি টাকা আয় করার স্বপ্ন অনেকেই দেখে তবে বাস্তবে তা অর্জন করে খুব অল্প মানুষ। যারা সঠিক পরিকল্পনা দিয়ে চেষ্টা করবে তারা খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবে। এই আধুনিক যুগে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে যেমন সময় লাগে তেমনই একটু চেষ্টা করে আয় করতেও সময় লাগবে না। বর্তমান যুগে মানুষ কি না পারে এই আধুনিক যুগে সব কিছুই উন্নত মানুষ চাইলেই সহজে ইনকাম করে টাকা আয় করতে পারবে।
অনলাইনে টাকা আয় করার অনেক রকম পথ আছে। যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ, ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লগিংন, অনলাইন কিছু বিক্রি করা, নিজের স্কিলকে কাজে লাগানো, নিজের ব্যবসা শুরু করা বা অন্যের ব্যবসা চালাতে সাহায্য করা। যে যেইটাই পারদর্শী সে সেই পথটা বেছে নিয়ে টাকা আয় করতে পারে। তবে এর আগে আপনাকে যেই মাধ্যমে আয় করবেন সেই সম্পর্কে ভালো ভাবে পারদর্শী হতে হবে বা ভালো ভাবে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে কোটি টাকা আয়ের পথ
বর্তমান যুগে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করেই কোটি টাকা আয় করছে। এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম সকলের কাছেই। এই বিষয়ে যারা পারদর্শী না তারাও খুব অল্প সময়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে অনেক টাকা আয় করতে পারবে। অনলাইন বা অফলাইন কোর্স করে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক গুলো স্কিল থাকে যেমনঃ ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, এডিটিং, রাইটিং, কোডিং, মার্কেটিং, ডাটা এনট্রি ইত্যাদি। যেকোনো একটি স্কিল শিখে কাজ শুরু করতে পারেন। একেক স্কিলের জন্য একেক পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন।শুরুতে ইনকাম কম হলেও ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা ও রেট বাড়ে। W3schools এই ওয়েবসাইট থেকেও আপনারা এই কাজ গুলো শিখতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে যেই সকল প্লাটফর্মে কাজ পাওয়া যাব
ফ্রিল্যান্সিং শিখে আমরা কিভাবে তা কাজে লাগাবো এবং লাখ লাখ বা কোটি কোটি টাকা আয় করবো সেই রাস্তাও আছে। অনেক প্লাটফর্ম আছে যেখানে এই স্কিল গুলো কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করা যায়। প্রায় সকলের জনপ্রিয় এমন কিছু প্লাটফর্ম হলো যেমনঃ ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি। আরও আছে তবে এইগুলো অনেকেই ব্যবহার করে এবং জনপ্রিয়।
এই প্লাটফর্ম গুলো সম্পর্কে কিছু ধারণা নেওয়া যাক।
- Fiverr
ফাইবার এমন একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি নিজের স্কিল অনুযায়ী গিগ তৈরি করতে পারেন। গিগ হলো আপনি কোন স্কিলটা ব্যবহার করে গ্রাহকের কাজ করে দিবেন সেই সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করতে হবে। আপনি কী করতে পারেন যেমনঃ লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট লেখা, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি আরও যে সকল স্কিল আছে বা আপনি যেটা ভালো পারেন তা লিখে একটি অফার তৈরি করবেন। ক্লায়েন্টরা সেটা দেখে আপনাকে অর্ডার দিবে। এখানে নতুনদের কাজ পাওয়া একটু এই তবে পরিচিতি কারো থেকে কাজ নিয়ে ধৈর্যের সাথে রিভিউ সংগ্রহ করে সফল হওয়া সম্ভব। - Upwork
আপওয়ার্ক একটু বেশি প্রফেশনাল এবং কঠিন মার্কেটপ্লেস হলেও এখানে ভালো আয়ের সুযোগ বেশি। এখানে ক্লায়েন্টরা কাজের বিজ্ঞাপন দেয় আর ফ্রিল্যান্সাররা সেই কাজের জন্য বিড করে। এখানে প্রোফাইল বানাতে সময় দিতে হয় তবে একবার ভালো রিভিউ পেলে আপনি সহজেই বড় বাজেটের কাজ পেতে পারেন। এটাও একটা ভালো প্লাটফর্ম। - Freelancer.com
এই প্ল্যাটফর্মটি অনেকটা আপওয়ার্কের মতো যেখানে আপনি কাজের জন্য বিড করতে পারেন। এখানে অনেক ছোট ছোট কাজও থাকে যা নতুনদের জন্য উপযোগী। এই সাইটে প্রতিযোগিতা একটু বেশি কিন্তু ধৈর্য রেখে কাজ করলে এখান থেকেও ভালো আয় করা সম্ভব। তবে যেই প্লাটফর্ম হোক না কেন কাজ জানলে এবং ভালো ভাবে করলে টাকা আয় করতে সময় লাগবে না।
ব্লগিং করে সহজেই টাকা আয় করার উপায়
আপনি চাইলে ব্লগিং করেও অনেক টাকা আয় করতে পারেন এটাও একটা সহজ উপায়। ব্লগিং অনেকভাবে করা যায় কেউ কনটেন্ট লিখে করে কেউ ভিডিও করে সবাই নিজের মতো করে করতে পারে। এইগুলো থেকেও লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। এগুলোরও অনেক গুলো মাধ্যম থাকে সবাই নিজের পছন্দ মতো প্লাটফর্ম ব্যবহার করে আয় করতে পারে।
যেই প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে আমরা ব্লগিং করতে পরাবো।
- Blogger
ব্লগারে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে কনটেন্ট লিখে পোস্ট করি। আমাদের এই পোস্ট ভালো রাঙ্কিং হলে আমরা গুগল থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারবো। - YouTube
ইউটিউবেও বিভিন্ন বিষয়ে কনটেন্ট ভিডিও করে আমরা পাবলিশ করি। সেই ভিডিও গুলোর লাইক, শেয়ার, কমেন্ট করলে ভালো রাঙ্কিং হয় এবং ইউটিউব এডসেন্স দিলে সেখান থেকেও টাকা আয় করা যায় - Facebook
ফেসবুক থেকে টাকা পেতে হলে নিয়মিত ভিডিও বা রিল শেয়ার করতে হবে এবং বেশি মানুষকে দেখাতে হবে। দর্শক বাড়লে আপনি বিজ্ঞাপন, গিফট পয়েন্ট বা স্পন্সর পোস্ট থেকে আয় করতে পারবেন। - Instagram
ইন্সটাগ্রাম এ টাকা আয় করতে হলে রিল বানিয়ে শেয়ার করতে হবে এবং ফলোয়ার ও লাইক বাড়াতে হবে। এরপর ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি, বিক্রির লিংক বা ইনস্টাগ্রাম বোনাস থেকে টাকা পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ইনফ্লুয়েন্সারা এই ভাবেই লাখ লাখ টাকা করে।
অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কোটি টাকা আয়ের উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টা হলো আপনি যদি কার পণ্য বা সার্ভিসের লিংক শেয়ার করেন আর কেউ আর কেউ যদি তা কিনে ফলে আপনি যেই কমিশনটা পান সেটায় হবে আপনার আয়। এখানে টাকা আয় বলতে কেউ মাসে কয়েক হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকাও আয় করতে পারে সেটা কাজ বা দক্ষতার ওপর নির্ভর করবে।
এই পণ্য গুলোর রিভিউ ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ব্লগার ইত্যাদি প্লাটফর্মে শেয়ার করে কোথায় থেকে কিনতে হবে তার লিংক দিয়ে দিতে হবে। কেউ যদি সেই লিংক যেয়ে অর্ডার করে তাহলে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার পূর্বে আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, কোন প্লাটফর্মের জন্য কাজ করবেন, কোন প্লাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য প্রচার করবেন তা প্রমথমেই ঠিক করে নিতে হবে।
অর্ডিনারি আইটিতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে লাখ টাকা আয়
অর্ডিনার আইটি থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার এবং এর পরবর্তীতে কিভাবে তা কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করা যায়। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। অর্ডিনার আইটি থেকে অনলাইন বা অফলাইন কোর্স করা যায়। এই প্লাটফর্মে কোর্স শেষে টাকা আয় করারও অনেক পথ আছে।
অর্ডিনার আইটিতে হাজার থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। ব্লগারে কনটেন্ট লিখা থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট পর্যন্ত তৈরি করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। অর্ডিনার আইটি এই প্লাটফর্মের ওয়েব সাইটে যেয়ে এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দেখুন
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজের ব্যাবসা শুরু করুন
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যাবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করাকে বোঝায়। ডিজিটাল মার্কেটিং করার উপায় অনেক ধরনের আছে তা আমরা সবাই জানি এবং উপরে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যেমন ওপরে কনটেন্ট লিখে মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এমনকি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আরও আছে যদিও। এই ডিজিটাল মার্কেটিং করে তো আমরা সহজেই টাকা আয় করতে পারবো।
তবে ডিজিটাল মার্কেটিং আমরা নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করেও প্যাসিভ ইনকাম করতে পারি। প্লাটফর্মের একটি নাম দিয়ে নিজস্ব ব্যাবসা শুরু করতে পারি। ফলে অন্যের জন্য কাজ করে যেই টাকা করি তার থেকে দিগুন টাকা বেশী আয় করতে পারবো। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে তবেই সঠিক পরিকল্পনা করা সম্ভব।
স্কিল শিখিয়ে টাকা আয় করার উপায়
অনেকেই বিভিন্ন রকম স্কিল নিয়ে পারদর্শী। আপনার কোনো নির্দিষ্ট দক্ষতা থাকলে তা কাজে লাগাতে পারেন। যেমন ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, রান্না, মেকআপ, পড়ানো, সেলাই, ভিডিও এডিটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি দিয়েই আপনি নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আজকাল অনলাইনে নিজের কাজের নমুনা শেয়ার করে গ্রাহক পাওয়া এখন অনেক সহজ।
স্কিল নিয়ে ব্যাবসা আজকের এই আধুনিক যুগে লাভজনক উপায় টাকা আয় করার ক্ষেত্রে। এমনকি ছোট পরিসরে ঘর থেকেই শুরু করা যায়। এই ক্ষেত্রে ভালো রিভিউ থাকলে গ্রাহক আরও বিশ্বস্ত মনে করে এবং ব্যাবসা দ্রুত বাড়ে। এটিও আয়ের একটি ভালো মাধ্যম। নিজে যেই কাজ ভালো পারেন সেই বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়ে ঘরে বসে সহজেই টাকা আয় করতে পারেন।
প্রপার্টি বিক্রি করে কমিশনে টাকা আয়
প্রপার্টি বিক্রি আরও একটি আয়ের উপায়। যারা এই বিষয়ে ভালো জানে কনটা ভালো খারাপ বুঝে তারা কাজটি করে ভালো টাকা আয় করতে পারেন। যা একবারেই বড় অঙ্কের আয় হয়ে দাড়াই।
এই ব্যাবসায় আপনি অন্য কারো জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রি করে বা অন্য কারো জমি কিনতে সাহায্য করে কমিশনে টাকা আয় করা যায়। এমনকি জমির দেখাশোনা এইগুলো করেও অনেক লাভ হয়। শুধুমাত্র সঠিক ও বিশ্বস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতাকে পরিচয় করানো এবং প্রপার্টি দেখানোই মূল কাজ। তাহলেই আপনি ভালো কমিশন অর্জন করতে পারবেন।
এই অভিজ্ঞতা শুরু করার পূর্বে আমার পরামর্শ
এই আধুনিক যুগে সব কিছুই সম্ভব এমনকি কোটি কোটি টাকা আয় করাও সম্ভব। তবে এমনিতেই টাকা আসবে না আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে ধৈর্য রাখতে হবে। সফলতা আসতে সময় লাগবে তবে চেষ্টা করে যেতে হবে। কাজ একবারে না হলে পরের বারে ইনশাআল্লাহ হবে।
তবে আমাদের দক্ষ হতে হবে অন্যের থেকে ভিন্ন। অর্থাৎ নিজের পরিকল্পনা দিয়ে নিজের মতো করে চেষ্টা করতে হবে। ক্রিয়েটিভ হতে পারলেই সফলতা শীঘ্রই সম্ভব। কোনো কিছু নিয়ে কাজ শুরুর পূর্বে সেই সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিন। এইভাবে চেষ্টা করলে কোটি কোটি টাকা আয় করা খুবই সহজ।
শেষ কথা
কোটি টাকা কোটি উপায়ে আয় করা সম্ভব। তবে আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ এবং ভালো ভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। মার্কেটিং বিষয়টা বুঝে নিতে হবে তাহলেই কি করবেন না করবেন একটা ধারণা হয়ে যাবে। ওপরে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক গুলো স্কিল দেওয়া আছে এবং কথায় কিভাবে কাজে করে একবার ভালোভাবে দেখে নিন। তাহলে কোটি টাকা আয় করতে সময় লাগবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url